Narayanganj TV

3 days ago

( Sumaya Sultana Ful এর পোস্ট মানবিক কারণে কপি করা)
আমাদের বাড়ি বন্দর,নারায়ণগঞ্জ।
আমাদের বাসার পাশে ই সোনাকান্দা কেল্লা৷ আনুমানিক ১৩-১৪ বছর একটা ছেলে ১৫দিন আগে আমাদের বাসার এখানে আসে মানসিক প্রতিবন্ধী।
আমার ছোট ভাই ওকে শীতের জন্য সোয়েটার প্যান্ট এইসব দিয়েছে। তারপর আমার আব্বু ওকে ঘুমানোর জন্য যা যা লাগে লেপ-কম্বল বালিশ দিয়েছিলো। আর এই কয়েক দিন ও খাওয়া-দাওয়া আমাদের বাসায় ই করছে। ছেলে টা কথা বলতে পারে কিন্তু পুরো ঠিক মত না। নিজের নাম বলে জানে না আর বলে ওর মা নাই। বাসার ঠিকানা ও জানে না। ও কেল্লার গেটে ই থাকতো কিন্তু কিছু দুষ্ট ছেলে ওকে মারে ডিস্টার্ব করে। এখন কাল থেকে আব্বু আম্মু ওকে আমাদের বাড়ির ভিতর ই রাখছে গেরেজের মত যায়গায়। এখন তো শীতের দিন ওর খুব কষ্ট হচ্ছে বা আমাদের নিজের ও ওকে সারাজীবন পালার মত অবস্থা নেই। ওর জন্য মায়া লাগছে খুব তাই যত টুকু পারছে আমরা করছি এই কয়েদিন ধরে ই।

ও নিজে নিজে গোসল করতে পারে খেতে পারে সব ই করতে পারে। আর সব থেকে বড় ব্যাপার ও কাউ কে ডিস্টার্ব করে না। পরিস্কার-পরিছন্ন ই থাকে।

এমন কি কোনো যায়গা আছে এখানে এমন এতিম-অসহায় মানুষ দের রাখা হয়!
কেউ জানালে খুব উপকার হয়।

বা নারায়ণগঞ্জ বা বন্দরের ওকে কেউ চিনেন ওর বাসা কোথায়? ও বলতে পারছে না। জানলে ওকে আমরা বাসায় দিয়ে আসবো ওকে।

ছবি তে ও আমার আব্বুর ফোন নিয়ে ইউটিউব দেখছে।
( ছেলেটির পরিবারকে খুঁজে পেতে পোস্টটি শেয়ার করুন।) ... See MoreSee Less

Narayanganj TV

1 week ago

বিকেএমইএ সভাপতি ‘ঝুট বাবা’ হাতেমকে অপসারনের দাবী
ওসমান পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক // ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ বানিজ্য উপদেষ্টার কাছে
নারায়ণগঞ্জ টিভি ঃ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহল থেকে বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে অপসারনের দাবী উঠেছে। অভিযোগকারিরা বলছেন, মোহাম্মদ হাতেম সেলিম ওসমানের সহযোগি হয়ে বছরের পর বছর বিকেএমইএ নিয়ন্ত্রণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জের ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রন করেছে। ৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে সে বিকেএমইএ’র সভাপতি হয়ে আবারো জেলার ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছেন। আবির্ভূত হয়েছেন ঝুট বাবা হিসেবে।
নীট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ। ২০১০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বিকেএমইএর সভাপতির পদে ছিলেন সেলিম ওসমান। ২০১২ সালে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি হন তিনি। তারপর ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২১ ও ২০২৩ সালে সমঝোতার মাধ্যমে পর্ষদ করে সভাপতি হন সেলিম ওসমান। ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গত ২৫ আগষ্ট বিকেএমইএ’র সভাপতি হন মোহাম্মদ হাতেম। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সেলিম ওসমান বিকেএমইএ’র সভাপতি থাকলেও তার পক্ষে বিকেএমইএ’র নিয়ন্ত্রণ ছিলো মোহাম্মদ হাতেমের হাতে। শেষে তাকে নির্বাহী সভাপতি নামের একটি পদ-ও দেয়া হয় যেটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নিয়মের মধ্যে নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে ওসমানরা ও তাদের দোসররা পালিয়ে গেলেও বিকেএমইএ’র সভাপতি পদে মোহাম্মদ হাতেমের অবস্থান নিয়ে ব্যবসায়ীরা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মহলে ব্যপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ তাকে অপসারনের দাবী জানিয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বানিজ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের দুই প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৫ আগষ্টের পর ভোল পাল্টে সে বিকেএমইএ’র সভাপতি হয়ে আবারো জেলার ঝুট সেক্টর নিয়ন্ত্রন করছেন। আবির্ভূত হয়েছেন ঝুট বাবা হিসেবে।
বানিজ্য মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগে প্রিতম নীটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জাফর আহমেদ বাবুল ও কে এ এস নীটওয়্যার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, ২০১০ সাল থেকে টানা ১৪ বছর রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে বিকএমইএ’র সভাপতির পদ দখল করে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। প্রথমবার নামকা ওয়াস্তে নির্বাচন হলেও পরবর্তীতে ‘কথিত সমঝোতা’র মাধ্যমে পর্ষদ করে নিজের অনুগতদের নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করেছেন। বিকেএমএইতে সব কিছুই চলতো সেলিম ওসমানের নির্দেশনা অনুযায়ী। এমনকি কে কোন্ পদে থাকবেন সেটাও নির্ধারণ করে দিতেন তিনি। ৫ আগস্ট সরকারের পট পরিবর্তনের পর গত ২৪ আগস্ট শারিরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সভাপতির পদ থেকে সেলিম ওসমান পদত্যাগ করেন। তবে তিনি কমিটি পুনর্গঠন করার ঘোষণা না দিয়ে নতুন সভাপতি নির্বাচন করেন যা এই ধরনের নেতৃস্থানীয় সংগঠনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সেলিম ওসমান তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেন, ‘বর্তমান নির্বাহী সভাপতি হাতেম দীর্ঘদিন ধরে আমাকে, বিকেএমইকে ও নিট সেক্টরের উন্নতির জন্য সহায়তা করে গেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমি পরিচালনা পর্ষদের সকলের কাছে অনুরোধ রাখতে চাই, আমার বিদায়ের পর পর বিকেএমইএ ও নিট সেক্টরের উন্নয়নকল্পে মোহাম্মদ হাতেম এর অবদান এবং প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করে তাকে এই নতুন বিকেএমইএ পরিচালনার জন্য সভাপতির দায়িত্বভার অর্পণ করা হোক।" অনুগত পর্ষদও বিনা বাক্যব্যয়ে তার কথা মেনে নিয়েছেন এবং মোহাম্মদ হাতেমকে সভাপতি, সাবেক স্বৈর-শাসকের দোসর সেলিম ওসমানের অনুগতদের নিয়েই গঠিত হয়েছে প্রহসনের বর্তমান পর্ষদ।
অভিযোগে ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, মোহাম্মদ হাতেম বিগত তিন বছর যাবত নির্বাহী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলের পুরোটাই সেলিম ওসমানের অনুগত থেকে মোহাম্মদ হাতেমও পুরোপুরি ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেছেন। গত ২২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠকে মো. হাতেম বলেন, ‘এরকম একটি সঙ্কটকালে আমরা এমন সিচুয়েশন দেখবো সেটা আশা করিনি। যে তান্ডব আমরা গত কয়েক দিনে দেখেছি, আমরা আশা করব, সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্য যারা আছেন, তারা তা উদঘাটন করবেন এবং আইনের আওতায় আনবেন। আমরা সরকারের পাশে সবসময়ই ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।"
লিখিত অভিযোগে তারা বলেন মোহাম্মদ হাতেম নারায়ণগঞ্জের বিসিক অঞ্চলে ঝুট ব্যবসা (গামের্ন্ট এর কাপড়ের পরিত্যক্ত অংশ) নিয়ন্ত্রণ ও জোরপূর্বক জায়গা-জমি দখল করে ভীতিকর এক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন, যা একটি সংগঠনের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে কখনোই কাম্য নয়। সেলিম ওসমান ও তার অনুগতদের নেতৃত্বে বিকেএমইএতে কোটি কোটি টাকা লোপাট ও দুর্নীতি হয়েছে বলেও জনশ্রæতি রয়েছে। আমরা সরকারের মদদপুষ্ট পর্ষদকে বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করি। এবং দ্রæত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির দাবী জানাচ্ছি।
লিখিত অভিযোগ সম্পর্কে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল ও আলমগীর কবির বলেন নিরাপত্তার অভাবে অনেক ব্যবসায়ী এখনো প্রকাশ্যে কথা বলতে চায়না। তবে ওসমান পরিবারের দোসররা এখনো বিকেএমইএ চালাবে এটাতো হতে পারেনা। আমরা মোহাম্মদ হাতেমের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছি তার সুষ্ঠ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানাই।
তবে শুধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে না নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলেও মোহাম্মদ হাতেমের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ । ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর বিকেএমইএতে ওসমানদের ছায়া হিসেবে মোহাম্মদ হাতেম এখনো তাদের নির্দেশনায় কাজ করছেন বলে অভিযোগ সর্বমহলে। ইতিমধ্যে জেলা বিএনপি, মহানগর বিএনপি, নারায়ণগঞ্জ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণসংহতি আন্দোলনসহ নারায়ণগঞ্জ সুধীসমাজ অনতিবিলম্বে বিকেএমইএ’র সভাপতি পদ থেকে ওসমানদের দোসর ঝুট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাতেমকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া বিসিক এলাকায় কোন ধরণের সংঘাত তৈরি হলে হাতেমকেই দায় নিতে হবে বলে প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর বিকেএমইএ’র বিশেষ সাধারণ সভাতেও (ইজিএম) ১৫০জন সদস্য অংশগ্রহণ করলেও বেশিরভাগ টেবিলেই হাতেমকে নিয়ে জোর সমালোচনা চলে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র আহŸায়ক এডভোকেট শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, যখন শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্র-জনতা খুন হচ্ছিলো তখন শেখ হাসিনার সাথে সভায় হাতেম যে বক্তব্য দিয়েছিরো তাতেই তার পরিচয় প্রকাশ হয়ে গিয়েছিলো। মোহাম্মদ হাতেম সেলিম ওসমানের ডান হাত হিসেবে পরিচিত। তার মতো লোক বিকেএমইএ’র মতো সংগঠনে থাকলে যেকোনো সময় সরকারকে বিপদে ফেলতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, তাকে প্রমাণ করতে হবে সে ফ্যসিষ্টদের পারপাস সার্ভ করছে না। ঝুটের টোকেন সে বিতরণ করে বলে আমরা শুনি। এ নিয়ে বিসিক এলাকায় যদি কোনো দ্ব›দ্ব সংঘাত ঘটে তবে তার দায় বিকেএমইএ’র নেতা হিসেবে হাতেমের।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় ওসমানদের পা-চাটা গোলাম হাতেমের মতো লোক এখনো বিকেএমইএ’র শীর্ষ পদে বসে আছে।
গনসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, খুনিদের দোসররা বিকেএমইএ’র দায়িত্ব নেবেন এজন্য হাজার হাজার ছাত্র জনতা জীবন দেয়নি।
অভিযোগের ব্যাপারে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের অভিযোগটি আমি জেনেছি। আমি সব সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে কাজ করেছি। কখনো কোনো নেতার পক্ষে কাজ করিনি। সেলিম ওসমানের সাথে মনোমালিন্যের কারনে ২০১৭ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আমি বিকেএমইএ’তে ছিলাম না। পরে দেখি মিডিয়া ফেস করা, ব্যবসায়ীদের কাজ করা সব আমাকেই করতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে আবার এখানে এসেছি। আমি কি করেছি আপনারা মিডিয়া জানেন, ব্যবসায়ীরা জানে, নারায়ণগঞ্জবাসি জানে। একজন ঝুট ব্যবসায়ীকে ঝুট দেয়ার জন্য একটি স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক আমার কাছে এসেছিলো। দেইনি বলে সে আমার বিরুদ্ধে লিখছে, ষড়যন্ত্র করছে। #
নারায়ণগঞ্জ। ১২-১২-২০২৪। ... See MoreSee Less